নিজেকে চিনুন, দেশের মাটিকে,দেশকে,মানুষ কে এমন কিছু দিন যেন স্বর্গীয় শান্তি পৃথিবীতেই আপনাকে ছুঁয়ে যেতে পারে
সময় গুলোতে অনিয়মের মাঝে নিয়ম স্বাভাবিক ভাবেই উপেক্ষিত যেমনটা মেধা মূল্যায়ন বা সততার উদহারনে দৃশ্যমান।।
দেশের জন্য কাজ করা মানুষ গুলো পূর্বেও যেমন উপেক্ষিত বর্তমানেও ব্যতিক্রম নয় হয়তো ভবিষ্যৎ একই পরিক্রমায় চলবে।।
একটা গল্প আছে এমন-
এক ভদ্রলোক নিয়ম মেনে,বৈধ ভাবে,সততার সাথে জীবন পরিচালিত করছিলেন,যদিও সময় গুলো কঠিন তর ছিল তার জন্য সমসাময়িক দ্রব্য গুলোর উর্ধ্বগতির জন্য।
তথাপিও তিনি এক নীতিতে অনড় ছিলেন।
সবচেয়ে নিকট আত্মীয়, শুভাকাঙ্ক্ষী ধীরে ধীরে তার কাছ থেকে দূরে চলে যায়,যথেষ্ট একা হয়ে পড়েন ভদ্রলোক।
তবে হাসিমুখে সবকিছু মেনে নিয়ে,অধিকতর পরিশ্রম, নিজের প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিয়ে মাঠে পদচারণা বৃদ্ধি করেন।।
ধীরে ধীরে তার দূরদর্শিতা ও দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী ফলপ্রসূ কাজের জন্য মহান প্রতিপালক তাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন।।
আবারো সবাই তার কাছাকাছি হওয়ার চেষ্টা করেন,নিকট আত্মীয় হতে চেষ্টা করেন,তার ভক্ত হওয়ার প্রচেষ্টা চালান।
ভদ্রলোক এক নীতির কারণে সবার থেকেই দূরে থাকেন,তার কাজ এগিয়ে নিতে থাকেন।
প্রশ্ন হল ভদ্রলোক সফল হওয়ার পর কঠিন অবস্থান ধরে রাখাটা কি ভদ্রচিত ছিল।
আমার উত্তর হ্যাঁ,এমনটাই হওয়া উচিৎ।।
মূলকথাঃ স্বাভাবিক দৃষ্টি ভঙ্গিতে অর্থ,বিত্ত,প্রাচুর্যকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হলেও এর নৈতিক গুরুত্ব শূণ্যের কোঠায়।
আন্তরিকতা,পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ,সামাজিক অবস্থান কখনো টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করা উচিৎ নয়।
তবে সামগ্রিক ভাবে একটা কথা আছে অর্থ ছাড়া মানুষ মূল্যহীন আবার অর্থই সকল অনর্থের মূল।।
চলুন আপন শক্তিতে,মেধা,প্রজ্ঞায়,সৃষ্টি শীলতায়,দক্ষতায়,নৈপুণ্যে,দূরদর্শিতায়।।
নিজেকে চিনুন, দেশের মাটিকে,দেশকে,মানুষ কে এমন কিছু দিন যেন স্বর্গীয় শান্তি পৃথিবীতেই আপনাকে ছুঁয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
ভাল থাকুক পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষ গুলো।।