বাস্তবিক ও আলোকচিত্রের মাঝে অনেক ফারাক থাকে
প্রজেক্ট ভিত্তিক এডভান্স ট্রেনিং ও তথ্য-প্রযুক্তির ভবিষ্যত বাংলাদেশ-
আমরা প্রায়শই একটি বিষয়ের দৃশ্যমান ব্যর্থতা ও হতাশায় মগ্ন হই তা হল বেকারত্ন।বেকারত্ন দূরীকরণে কারিগরী শিক্ষা ব্যাবস্থা ও গতানুগতিক শিক্ষার সাথে কম্পিউটার সম্পর্কিত শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ অত্যন্ত জরুরী এবং তা জিরো লেভেল থেকেই করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স নামীয় কোর্স গুলো করিয়ে ২০১৩ সালের দিকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অর্থ কামিয়েছে বিনিময়ে মধ্যবিত্তদের হতাশায় ডুবিয়েছিল।বর্তমান সময়েও কম্পিউটারে সাধারন জ্ঞান না থাকা মানুষকে যখন উচ্চতর প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে তা কতটুকু কার্যকর সহজেই অনুমেয়।
দেশের সিংহ ভাগ মানুষ নিন্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের মাঝে পড়ে।সরকারী প্রজেক্ট ভিত্তিক সুযোগ দানে এদের প্রায়োরিটি ও উচ্চতর প্রশিক্ষন প্রদানের শেষ ভাগ পর্যন্ত প্রজেক্ট স্থায়ী ও সঠিক প্রতিষ্ঠান ও দক্ষ ট্রেইনার এর মাধ্যমে প্রশিক্ষন প্রদানে একটা ভাল ফলাফল আশা করা যেতে পারে।প্রায়শই দেখি বেশী বাজেটের উচ্চতর প্রশিক্ষন গুলো ঢাকা কেন্দ্রীক ও আইটিতে ভাল জ্ঞান রাখে এমনদের উদ্দেশ্য করে।অভূতপূর্ব কথা মাত্র ২০০০টাকায় এন্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলাপ কোর্সের নাম মাত্র কিছু ফাংশন শিখে একজন প্রশিক্ষনার্থীর কি কাজে আসতে পারে।
প্রচুর প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান নিজেদের ব্যবসায়ীক মুনাফা তুলতে দেশ ও শিক্ষার্থীদের সাথে অভিনব প্রতারণা করে আসছে।
নিজের ভাল পাগলেও বুঝে কিন্তু আমরা অল্প টাকার মাধ্যমে উচ্চ প্রশিক্ষনের লোভ ও স্বল্প সময়ে ধনী হওয়ার উপায় হিসেবে ভূল পথে চলি।
বাস্তবিক ও আলোকচিত্রের মাঝে অনেক ফারাক থাকে ঠিক সেভাবেই
তথ্য প্রযুক্তি খাত যেমন সঠিক সিদ্ধান্তে সমৃদ্ধির তেমনি ভূল সিদ্ধান্ত এবং ভূল পরিচালনায় ধংসাত্নক ও চরম হতাশার সুতরাং কর্মগুণে নিজের অবস্থান অত্যন্ত শক্তিশালী হয়।
ছবিটি ডাক-টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী(টেকনোক্রেট)মোস্তফা জব্বার স্যার ও কলকাতার হায়দার স্যারের সাথে তুলেছিল পলাশ দা।